ভাষা প্রবহমান ও পরিবর্তনশীল। প্রতিটি ভাষার ক্ষেত্রেই সুনিয়ন্ত্রিত ও সুশৃঙ্খল বানান পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। বাধ্বনিকে বর্ণ বা হরফের সাহায্যে লিখিত রূপ দেওয়ার প্রক্রিয়াই হচ্ছে বানান। বানান মূলত শব্দমধ্যস্থ বর্ণসমূহের বিশ্লেষণ বা ধারাবাহিক বর্ণনা হলেও বানানরীতি ব্যাকরণের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোনো ভাষার মৌলিক শব্দের গাঠনিক রূপ কী ধরনের হবে কিংবা যৌগিক শব্দ গঠনের ক্ষেত্রে বানানের নিয়মে কোনো পরিবর্তন আসবে কি না, তা জানার একমাত্র উপায় বানানরীতি।
একই শব্দের একাধিক বানান বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। বাংলা ভাষা হাজার বছরের পুরনো। বাংলা ভাষায় দীর্ঘকাল ধরে বানানের কোনো সুনির্ধারিত নিয়ম না থাকায় একই শব্দের একাধিক বানান চলে এসেছে। বাংলা বানানের নিয়ম বেঁধে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম উদ্যোগী ভূমিকা পালন করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৩৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তাবিত 'বাংলা বানানের নিয়ম'-এর প্রথম সংস্করণ এবং ১৯৩৭ সালে দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ১৯৮৮ সালে বাংলা বানানের একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে। পরবর্তীকালে বাংলা একাডেমী 'প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম' প্রণয়ন করে। এ নিয়ম প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালের জানুয়ারি মাসে। ভাষার সামগ্রিক শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য বানানের নিয়ম জানা প্রয়োজন।
বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার বহুদিন ধরে নানা উৎসজাত শব্দের সমাবেশে গড়ে উঠেছে। উৎসগত দিক থেকে বাংলা ভাষার শব্দসমূহ তৎসম, অর্ধ-তৎসম, তদ্ভব, দেশি ও বিদেশি- এই প্রধান পাঁচটি ভাগে বিভক্ত। এই পাঁচ ধরনের শব্দের মধ্যে 'তৎসম', 'অর্ধ-তৎসম' ও 'তদ্ভব' শব্দ সংস্কৃত উৎসজাত। দেশি শব্দগুলো প্রাক্-আর্য, দ্রাবিড়, অস্ট্রিক প্রভৃতি অনার্য জাতির ভাষা থেকে এসেছে। বিদেশি বা বৈভাষিক শব্দসমূহ আরবি, ফারসি, পতুর্গিজ, তুর্কি, ইংরেজি, ফরাসি, ওলন্দাজ প্রভৃতি ভাষা থেকে আগত।
ণত্ব-বিধান ও ষত্ব-বিধান আলোচনার ক্ষেত্রে তৎসম শব্দ সম্পর্কে উল্লেখ করা প্রয়োজন। সংস্কৃত থেকে সরাসরি যেসব শব্দ বাংলা ভাষায় এসেছে, সেগুলোই তৎসম শব্দ। 'তৎ' বলতে বোঝায় 'সংস্কৃত'। অর্থাৎ যা সংস্কৃতের মতো তা-ই তৎসম।
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত শব্দগুলোর মধ্যে যেসব শব্দ তৎসম, কেবল সেগুলোর বানানে মূর্ধন্য-ণ এবং মূর্ধন্য-ষ ব্যবহৃত হয়। তৎসম শব্দের বানানে মূর্ধন্য-ণ ও মূর্ধন্য-ষ প্রয়োগের বিশেষ নিয়ম রয়েছে।
লক্ষণীয় যে, দন্ত্য-ন এবং মূর্ধন্য-ণ-এর মধ্যে ধ্বনিগত বা উচ্চারণগত কোনো পার্থক্য নেই। তদ্রূপ দন্ত্য-স এবং মূর্ধন্য-ষ-এর মধ্যেও ধ্বনিগত বা উচ্চারণগত কোনো পার্থক্য নেই। কিন্তু বানানের ক্ষেত্রে এদের সুনির্দিষ্ট প্রয়োগবিধি বা ব্যবহার রয়েছে। বানানের ক্ষেত্রে কীভাবে দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ হয়ে যায় এবং কীভাবে দন্ত্য-স মূর্ধন্য-ষ হয়ে যায়, তা জানা প্রয়োজন।
যে রীতি অনুসারে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত তৎসম শব্দের বানানে দন্ত্য-ন-এর পরিবর্তে মূর্ধন্য-ণ ব্যবহৃত হয়, তাকে ণত্ব-বিধান বলে। অথবা, তৎসম শব্দের বানানে মূর্ধন্য-ণ-এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মকে ণত্ব-বিধান বলে। যেমন: ঋণ, তৃণ, হরণ, করণ, চরণ, ভাষণ, ভূষণ, শোষণ, লক্ষণ ইত্যাদি।
১. তৎসম শব্দে ঋ, র, য—এই তিনটি বর্ণের পরে এবং ঋ-কার, র-ফলা, রেফ, ক্ষ-এর পরে মূর্ধন্য-ণ ব্যবহৃত হয়। যেমন:
(ক) ঋ বা ঋ-কার (<)-এর পর মূর্ধন্য-ণ:
ঋণ, ঘৃণা, তৃণ, মসৃণ।
(খ) র-এর পর মূর্ধন্য-ণ:
বরণ, কিরণ, উচ্চারণ, চরণ, বিতরণ, হরণ, জাগরণ, ব্যাকরণ, নিবারণ।
(গ) র-ফলা (্র)-র পর মূর্ধন্য-ণ:
আমন্ত্রণ, মুদ্রণ, মিশ্রণ, চিত্রণ, শ্রেণি।
(ঘ) রেফ -এর পর মূর্ধন্য ণ:
অর্ণব, কর্ণ, পূর্ণ, দীর্ণ, বর্ণ, ঝর্ণা, স্বর্ণ, বর্ণনা, শীর্ণ।
(ঙ) ষ-এর পর মূর্ধন্য-ণ:
অন্বেষণ, দূষণ, বর্ষণ, ভাষণ, প্রেষণ, আকর্ষণ, ঘর্ষণ, বিশ্লেষণ, ভূষণ, শোষণ।
(চ) ক্ষ (ক্+ ষ)-এর পর মূর্ধন্য ণ:
ক্ষণ, শিক্ষণ, রক্ষণ, প্রশিক্ষণ, লক্ষণ।
দ্রষ্টব্য: মূর্ধন্য-ণ মূর্ধন্য-ষ-এর পরে যুক্ত হয়ে যুক্তব্যঞ্জন গঠন করলে তা ষ্ণ-এর রূপ নেয়। (ষ্ণ-এর বিশ্লিষ্ট রূপ হচ্ছে ম্ + ণ)
উদাহরণ: উষ্ণ, ক্ষয়িষ্ণু, তৃষ্ণা, কৃষ্ণ, বর্ধিষ্ণু।
২. একই শব্দের মধ্যে ঋ, ঋ-কার (ৄ), র, রেফ ('), র-ফলা (্র) অথবা ষ-এর যেকোনোটির পরে যদি স্বরবর্ণ, ক-বর্গ (ক, খ, গ, ঘ, ঙ), প-বর্গ (প, ফ, ব, ভ, ম) এবং যয় হ কিংবাং-এসব বর্ণের এক বা একাধিক বর্ণ থাকে, তবে তার পরবর্তী দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ হয়। যেমন:
অর্পণ, কৃপণ, দর্পণ, হরিণ, বৃংহণ, শ্রবণ।
৩. যুক্তব্যঞ্জনে ট-বর্গের বর্ণগুলোর (ট ঠ ড ঢ) পূর্বে দন্ত্য-ন-এর পরিবর্তে মূর্ধন্য-ণ হয়। যেমন:
কণ্টক, ঘণ্টা, কণ্ঠ, গুণ্ঠন, পণ্ডিত।
৪. প্র, পরা, পূর্ব, অপর-এগুলোর পর 'অহ্ন' শব্দ বসলে 'অহ্ন' শব্দের দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ হয়। যেমন:
প্রাহ্ণ (প্র + অহ্ন = প্রাহ্ণ)।
পুর্বাহ্ণ (পর + অহ্ন = পরাহ্ণ)।
অপরাহ্ণ (অপর + অহ্ন = অপরাহ্ণ)।
৫. কতকগুলো তৎসম শব্দে স্বভাবতই মূর্ধন্য-ণ হয়। যেমন:
অণু | কোণ | গণ্য | তৃণ | পণ্য | বিপণি | লবণ |
আপণ | গণ | গণিত | নগণ্য | পুণ্য | বীণা | লাবণ্য |
কঙ্কণ | গণক | গুণ | নিক্কণ | ফণী | বেণু | শোণিত |
ণত্ব-নিষেধ (বানানে দন্ত্য-ন)
১. যুক্ত ব্যঞ্জনে ত-বর্গের (ত থ দ ধ ন) পূর্বে দন্ত্য-ন হয়। যেমন:
অন্ত, দুরন্ত, শান্ত, গ্রন্থি, পান্থ, বন্দুক।
২. ঋ, র, ষ-এর পর স্বরবর্ণ, ক-বর্গ, প-বর্গ, য, য়, হ কিংবাং ব্যতীত অন্য বর্ণ থাকলে পরবর্তী দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ হয় না। যেমন:
অর্জন, বর্জন, দর্শন, বিসর্জন, গিন্নি, সোনা।
৪. বিদেশি শব্দের বানানে সর্বদা দন্ত্য-ন হয়। যেমন:
আয়রন, ক্লোরিন, গ্রিন, ড্রেন, ইস্টার্ন, কেরানি, জার্মান, ফার্নিচার, সেকেন্ড।
৫. ক্রিয়াপদের বানানে দন্ত্য-ন হয়। যেমন:
করেন, করানো, ধরুন, ধরেন, পারেন।
৬. সমাসবদ্ধ শব্দের পূর্বপদে ঋ র য থাকলেও পর পদের দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ না হয়ে অপরিবর্তিত থাকে।
যেমন:
অগ্রনায়ক | ত্রিনয়ন | দুর্নাম | মৃগনাভি | সর্বনাম | হরিনাম |
যে রীতি অনুসারে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত তৎসম শব্দের বানানে দন্ত্য-স-এর পরিবর্তে মূর্ধন্য-ষ ব্যবহৃত হয়, তাকে ষত্ব-বিধান বলে।
অথবা, তৎসম শব্দের বানানে মূর্ধন্য-ষ-এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মকে ষত্ব-বিধান বলে। ঋষি, তৃষা, বর্ষ, বৃষ্টি, কাষ্ঠ ইত্যাদি।
১. ঋ বা ঋ-কারের পরে দন্ত্য-স-এর পরিবর্তে মূর্ধন্য-ষ ব্যবহৃত হয়। যেমন:
কৃষক, কৃষ্ণ, ঋষি, কৃষাণ, তৃষা, কৃষ্ণা।
ব্যতিক্রম: কৃষ্ণ ধাতু থেকে জাত কৃশ, কৃশতা, কৃশাঙ্গ, কৃশাঙ্গী, কৃশানু, কৃশোদর।
২. রেফ -এর পরে মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন:
আকর্ষণ, চিকীর্ষা, বর্ষণ, বিমর্ষ, মুমূর্ষু, ঈর্ষা, পর্ষদ, মহর্ষি, শীর্ষ।
ব্যতিক্রম: অর্শ, আদর্শ, দর্শন, পরামর্শ, বর্শা, স্পর্শ ইত্যাদি।
৩. ট এবং ঠ-এর পূর্বে যুক্ত দন্ত্য-স মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন:
ষ্ +ট = ষ্ট
অষ্ট | নষ্ট | বৃষ্টি | সৃষ্টি | পুষ্টি | মুষ্টি | হৃষ্ট |
স্+ঠ = ষ্ঠ
কাষ্ঠ | গোষ্ঠ | বলিষ্ঠ | কনিষ্ঠ | জ্যৈষ্ঠ | সুষ্ঠু |
৪. ই-কারান্ত এবং উ-কারান্ত উপসর্গের পর কতকগুলো ধাতুর দন্ত্য-স মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন:
ই-কারান্ত উপসর্গ
অভিষেক | অভিষঙ্গ | পরিষদ | প্রতিষেধক | বিষাদ |
অভিষিক্ত | নিষুপ্ত | প্রতিষ্ঠান | বিষয় | বিষম |
উ-কারান্ত উপসর্গ
অনুষঙ্গ | অনুষঙ্গী | অনুষ্ঠান | সুষম | সুষুপ্ত | সুষুপ্তি |
ব্যতিক্রম: অভিসার, অভিসন্ধি, অভিসম্পাত ইত্যাদি।
৫. সন্ধিতে বিসর্গযুক্ত ই-কার বা উ-কারের পর ক খ পফ-এর যেকোনো একটি থাকলে বিসর্গ (ঃ) স্থানে মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন:
নিষ্প্রভ (নিঃ + প্রভ)।
নিষ্কর (নিঃ + কর)।
নিষ্ফল (নিঃ + ফল)।
বহিষ্কার (বহিঃ + কার)।
উঃ+[ক/খ/প/ফ] = উষ্+ [ক/খ/প/ফ]
আয়ুষ্কাল (আয়ুঃ + কাল)।
দুষ্কৃত (দুঃ + কৃত)।
চতুষ্পদ (চতুঃ + পদ)।
৭. সম্ভাষণসূচক শব্দে এ-কারের পর মূর্ধন্য-ষ ব্যবহৃত হয়। যেমন:
কল্যাণীয়েষু | শ্রদ্ধাস্পদেষু | স্নেহাস্পদেষু | বন্ধুবরেষু | সুজনেষু |
৮. কতকগুলো তৎসম শব্দে স্বভাবতই মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন:
অভিলাষ | দূষণ | ভাষা | ঈষৎ | তুষার |
বিষয় | শেষ | পাষাণ | বিষ | মানুষ |
১. তদ্ভব বা খাঁটি বাংলা শব্দে মূর্ধন্য-ষ হয় না, দন্ত্য-স হয়। যেমন: মিনসে।
২ . অ, আ বর্ণে বিসর্গ (ঃ) থাকলে অতঃপর ক, খ, প, ফ থাকলে সন্ধিতে বিসর্গের স্থানে দন্ত্য-স হয়। যেমন:
নমস্কার (নমঃ + কার)
তিরস্কার (তিঃ + কার)
মনস্কাম (মনঃ + কাম)
৩. বিদেশি শব্দে, বিশেষ করে ইংরেজি শব্দেং: উচ্চারণস্থলে স্ট হয়। যেমন:
আগস্ট | স্টেশন | ফটোস্ট্যাট | স্টুডিও | মাস্টার | স্টেডিয়াম |
৪. 'সাৎ' প্রত্যয়ের দন্ত্য-স মূর্ধন্য-ষ হয় না। যেমন:
অগ্নিসাৎ | ধূলিসাৎ | ভূমিসাৎ |
৫. সম্ভাষণসূচক স্ত্রীবাচক শব্দে আ-কারের পর মূর্ধন্য-ষ না হয়ে দন্ত্য-স হয়। যেমন:
কল্যাণীয়াসু | মাননীয়াসু | সুজনীয়াসু |
পূজনীয়াসু | সুচরিতাসু | সুপ্রিয়াসু |
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন: (নমুনা)
১। বাংলা বানানের নিয়ম বেঁধে দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে?
ক. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
খ. জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড
গ. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
ঘ. বাংলা একাডেমি
২। নিচের কোন বানানটি অশুদ্ধ?
ক. বরণ
খ. চরণ
গ. ধরণ
ঘ. হরণ
১। নিচের উদাহরণগুলো সমজাতীয়তার ভিত্তিতে একই গুচ্ছে সাজাও এবং প্রতিটি গুচ্ছের বিপরীতে ণত্ব-বিধানের সংশ্লিষ্ট নিয়মটি লেখ। উদাহরণ ঋণ, কণ্টক, দর্পণ, তৃণ, প্রণাম, অপরাহ্ণ, চন্দ্রায়ণ, পরিণাম, কণ্ঠ, বাণিজ্য, পূর্বাহ্ণ, পরায়ণ, গ্রহণ, বর্ণ, পণ্য, ভাষণ, মাণিক্য, উষ্ণ, হরিণ, বিশ্লেষণ, উত্তরায়ণ, গণ।
প্রদত্ত শব্দ | যে নিয়মে মূর্ধন্য-ণ হয়েছে |
|
|
২। নিচের উদাহরণগুলো সমজাতীয়তার ভিত্তিতে একই গুচ্ছে সাজাও এবং প্রতিটি গুচ্ছের বিপরীতে যত্ন-বিধানের সংশ্লিষ্ট নিয়মটি লেখ। উদাহরণ: কষ্ট, অভিষেক, নষ্ট, ভাষা, অনুষ্ঠান, চতুষ্পদ, ঋষি, মিষ্টি, আবিষ্কার, তৃষা, পরিষদ, বৃষ, আষাঢ়, দুষ্প্রাপ্য, জিগীষা, বহিষ্কার, অনুষঙ্গ।
প্রদত্ত শব্দ | যে নিয়মে মূর্ধন্য-ষ হয়েছে |
|
|
common.read_more